ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে লাইট হাউস

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  নারীকে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। পাচার, যৌন হয়রানি ও অন্যসব ধরনের শোষন বঞ্চনাসহ ঘরে-বাইরে সকল নারীর বিরুদ্ধে সকল ধরনের সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে। তার যেন কোনভাবেই বৈষম্যের শিকার না হয়। এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। শনিবার সকালে কক্সবাজার শহরের অরুণোদয় স্কুলের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভায়’ বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা লাইট হাউস। এতে অর্থায়ন করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

সভায় ‘লাইট হাউস’ এর পরিচালক জিয়া উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো প্রশংসনীয় স্তরে উন্নীত হয়েছে। যার ফলে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে এবং বাংলাদেশের নারীর স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো নির্ধারণ ও তা মোকাবেলা করতে হবে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারেও ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে লাইট হাউস।’

সভায় স্বাগত বক্তব রাখেন সংস্থাটির কর্মকর্তা রেহনা খান। পরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য কর্মসূচি; লাইট হাউসের পরিচিতি’ শীর্ষক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডা. তাওজিয়া জান্নাত শুচি। মারিয়া মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিনায়ক কান্তি রুদ্র, এনজিও লাইট হাউস এর শেল্টার হোম ম্যানেজার শারমিন সুলতানা প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, বর্তমানে লাইট হাউস এর শেল্টার হোমে ২০ জন সার্ভাইভার রয়েছেন। থানা, আদালত ও বিভিন্ন সংগঠনের রেফারেন্সে তারা ওই শেল্টার হোমে আশ্রয় পেয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই শেল্টার হোম থেকে সহায়তা পেয়েছে ১৪৪ জন।

পাঠকের মতামত: